ঋতুস্রাব বা রজঃস্রাব
ঋতুস্রাব বা রজঃস্রাব কে আমরা সমাজে সাধারণত মাসিক বা পিরিয়ড হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকি। এটাকে ইংরেজিতে মেনস্ট্রুয়েশন (Menstruation) বা সংক্ষেপে মেন্স (Mens) বলা হয়। আবার অনেকে এটাকে মেয়েদের শরীর খারাপ করা ও বলে। সমাজে এই ঋতুচক্র কে ঘিরে অনেক লজ্জাও গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়। পুরুষদেরকে এই বিষয় থেকে সম্পূর্ণ বাইরে রাখা হয়। মেয়েরা বয়সন্ধিকালে (puberty) তার বড় বোন কিংবা মায়ের কাছ থেকেই এ ব্যাপারে প্রথম জানতে পারে। তবে এখন শুধু পশ্চিমা বিশ্বে নয় আমাদের দেশেও এটা নিয়ে এখন খোলামেলা আলোচনা হয়।
গুগলের সহায়তা নিয়ে আমি এই লেখাটিকে যথাসম্ভব চেষ্টা করেছি পুরোপুরি বাংলায় লিখতে। সব চিকিৎসা শব্দের বাংলা খুঁজে পাইনি। অনেক যাচাই-বাছাই করার পর কিছু শব্দ আমি নিজে চয়ন করেছি। আশা করি আপনারা ইংরেজি শব্দগুলোর সাথে বাংলা শব্দগুলোর যথার্থতা খুঁজে পাবেন। আমি যখন ছোটবেলায় স্কুলে ক্লাস টেনে শরীর বিদ্যা পড়েছি তখন এটাকে ঋতুস্রাব হিসেবেই জেনেছি। তবে এখন ইন্টারনেট ঘেঁটে দেখছি এর নাম রজঃস্রাব হিসেবেই বেশি পরিচিত। এই রজঃস্রাবের উপর সম্পূর্ণ বাংলায় লিখতে গিয়ে আমাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে যাই হোক আসুন আমরা জানি এই রজঃস্রাব কি এবং কত প্রকার।
এই রজঃস্রাব হচ্ছে প্রতিটি প্রজনন সক্ষম মহিলাদের প্রতিমাসে বাচ্চা হওয়ার রাস্তায় কয়েকদিনের একটি রক্তক্ষরণ। এটি একটি সম্পূর্ণ জৈবিক প্রক্রিয়া। প্রজনন সক্ষম মহিলাদের ডিম্বাশয় থেকে ডিম নির্গত হয়ে যদি শুক্রানু দ্বারা নিষিক্ত না হয়, তাহলে ডিম নির্গত হওয়ার ঠিক ১৪ দিনের মাথায় জরায়ুর সবচেয়ে ভিতরের সরস স্তরটি (Endometrium) রক্তের সাথে শরীর থেকে বাচ্চা হওয়ার রাস্তায় বের হয়ে যায় এবং এটিকেই আমরা ঋতুস্রাব বা রজঃস্রাব বলি। এই রজঃস্রাব সাধারণত ৩ থেকে ৭ দিন থাকে।
এই রজঃস্রাব সাধারণত ১০ থেকে ১৬ বছর বয়সের মধ্যে প্রথম শুরু হয় এবং এই প্রথম রজঃস্রাব কে বলা হয় আদ্যঋতু বা Menarche। আর এই রজঃস্রাব সাধারণত মহিলাদের ৪৫ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় এবং সেটাকে বলা হয় রজ:ক্ষান্তি অথবা রজঃনিবৃত্তি (Menopaus)।
Copyright © All Rights Reserved